বটিয়াঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিমান্ড চার্জ পরিবর্তনের দাবিতে ৩ মাস বিলবন্ধ


 নিজস্ব প্রতিবেদক:

বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের কয়েকশ গ্রাহক ডিমান্ড চার্জ পরিবর্তনের দাবীতে পল্লী বিদ্যুৎ বিল ৩/৪ মাস বন্ধ করে দিয়ছে এলাকাবাসি। তাদের অভিযোগ যতক্ষণ পর্যন্ত এটা পরিবর্তন না হবে ততক্ষণ তারা পল্লী বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবেন না। 

গত ৭/৮ মাস আগে রায়পুর এলাকা ৮০/৯০ জন পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক স্বাক্ষরিত ৬০ টাকা ডিমান্ড চার্য পরিবর্তনের জন্য খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোঃ আলতাফ হোসেন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরবর্তিতে বার বার তার সঙ্গে স্বাক্ষাত করেও কোন সমাধান না হওয়ায় গ্রহকরা বিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মোতাবেক ভুক্তভোগী এই বিদ্যুৎ গ্রাহকরা তাদের প্রতি মাসের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে।

গ্রাহক জাকির হোসেন লিটু বলেন, সমাধান না হওয়া পযর্ন্ত বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হবে না।

আমাদের আশপাশে এলাকায় বিদ্যুৎ বিলে প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্য ২০/২৫ টাকা। কিন্তু আমাদের এলাকায় সকল মিটারে ডিমান্ড চার্য প্রতি মাসে ৬০ টাকা করেছেন বিদ্যুৎ অফিস। আর এর নেতৃত্বে রয়েছে এলাকার বিদ্যুৎ অফিসের  নাজমুল,আনিস,মহাসিনসহ কিছু দালাল চক্র। তারা অফিসের কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে মিটার প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা আদায় করেছে। অথচ ঐ মিটারের সরকারি মুল্য ১২ শ টাকা। গ্রাহক হাসিবুর শেখ বলেন, আমরা ৮/৯ মাস আগে জিএম স্যারের সঙ্গে ডিমান্ড চার্য পরিবর্তনের জন্য আবেদন পত্রসহ স্বাক্ষাত করি, কিন্তু তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ডিমান্ড চার্য পরিবর্তনের সুপারিশ করতে বলেন। অথচ ইতিমধ্যে শতশত বার তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কোন সমাধান না হওয়ায় আমরা রায়পুরের সমস্ত বিল বন্ধ করে দিয়েছি। যতক্ষণ আমাদের সমস্যার সমাধান না হচ্ছে ততদিন বিল বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন,আমাদের পাশে সব জায়গায় ২০/২৫ টাকা প্রতি মাসের ডিমান্ড চার্য। অথচ আমাদের কাছ থেকে আদায় করছে ৬০ টাকা করে। একাধিক গ্রাহক বলেন,এছাড়া কারণে অকারণে ঘনঘন লোডশেডিং আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গি। অনেকই বলে থাকেন, নতুন ইনচার্জ যোগদানের পরেই লোডশেডিং বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা বিল বাড়ানোর নতুন কোন ফন্দি নাতো! যে কারণে তিনি অনেক জায়গায় গনপিটানিও খেয়েছেন। 

বটিয়াঘাটা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ ইনচার্জ মনমতো রন্জন হালদার বলেন,আমি এসব বিষয় কিছু জানিনা। আপনি সুরখালী অফিসে যোগাযোগ করেন। সার্বিক বিষয় খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌঃ মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন,আমি সমস্যা সমাধানের জন্য ৫সদস্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। কমিটি ৭দিনের ভিতর একটি প্রতিবেদন দিবে। তার পর বিষয়টি সমাধান করা হবে।

0/Post a Comment/Comments

Stay Conneted

Domain