দাকোপে শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত।

অনিমেশ বিশ্বাসঃ

প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।[১] ১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ন মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগীতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটির সূচনা।

 এবারের প্রতিপাদ্য"কোভিডোত্তর বিশ্বের টেকশই উন্নয়ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নেতৃত্ব ও অংশগ্রহন"। শুক্রবার সকালে দাকোপ উপজেলার বাজুয়া চড়ারবাধে অবস্থিত শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ২৩ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে বিদ্যলয়ের প্রতিষ্ঠাতা সজল কান্তি গাইন এর সভাপতিত্বে নানা অয়োজনে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়।

বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধী দিবসের অনুগামিতার পিছনে আছে এক ঘটনাবহুল জীবনস্মৃতি। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বেলজিয়ামে এক সাংঘাতিক খনি দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা যান। আহত পাঁচ সহস্রাধিক ব্যক্তি চিরজীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাদের প্রতি সহমর্মিতায় ও পরহিতপরায়ণতায় বেশ কিছু সামাজিক সংস্থা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজে স্বতঃপ্রবৃত্ত ভাবে এগিয়ে আসে। এর ঠিক পরের বছর জুরিখে বিশ্বের বহু সংগঠন সম্মিলিত ভাবে আন্তর্দেশীয় স্তরে এক বিশাল সম্মেলন করেন। সেখান থেকেই প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্যের হদিশ মেলে। সেখানে সর্বসম্মতভাবে প্রতিবন্ধী কল্যাণে বেশকিছু প্রস্তাব ও কর্মসূচি গৃহীত হয়। খনি দুর্ঘটনায় আহত বিপন্ন প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন করতে আহ্বান জানানো হয়। সেই থেকেই কালক্রমে সারা পৃথিবীর প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর দিন হয়ে উঠেছে।


 

0/Post a Comment/Comments

Stay Conneted

Domain